Thursday, January 9, 2025
spot_img
Homeসারাদেশউপজেলার খবরআদমজী এম. ডব্লিউ. স্কুলে প্রধান শিক্ষককের যোগদান ঠেকাতে রওশন আরার হাই কোর্টে...

আদমজী এম. ডব্লিউ. স্কুলে প্রধান শিক্ষককের যোগদান ঠেকাতে রওশন আরার হাই কোর্টে রিট।

আদমজী এক্সপ্রেস অনলাইন ডেক্স: আদমজীনগর এম. ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রওশন আরার বিরুদ্ধে  প্রধান শিক্ষককের যোগদান ঠেকাতে হাই কোর্টে রিটপিটিশন দাখিল করেছে। এতে বিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে থাকাতে ম্যানেজিং কমিটির পরোচনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমূল হুদার পূর্ণবহালের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও  ঢাকা বোর্ডের নিদের্শনা অমান্য করে হাইকোর্টে রিট দাখিল করে। স্বৈরাচার হাসিনা পদত্যাগের পরও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আওয়ামী প্রভাব দেখিয়ে তিনি ২৯ আগষ্ট প্রধান শিক্ষককে তিন মাস পর্যন্ত যোগদান ঠেকাতে রিট করেন। এর আগে নভেম্বর ২০২৩  সালেও একমাসের স্থগিতাদেশের জন্য হাইকোর্টে রিট করে। 

নাসিক ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আদমজী মার্চেন্ট ওয়ার্কারস (এম ডব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদাকে ঠুনকো অভিযোগে ২০২১ সালে এডহক কমিটির সভাপিত নায়েব আলী বিধি বর্হিভূতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত বাতিল করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি এবং স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। কিন্তূ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রধান শিক্ষককে যোগদানে বাধা দিতে থাকে। সরকার পরিবর্তনের পর প্রধান শিক্ষক ১৮ আগষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করে। তার যোগদান ঠেকাতে এবং নিজে প্রধান শিক্ষকের পদ দখলে রাখতে রওশনা আরা আওয়ামী ভোলপাল্টিয়ে বিএনপির নেতাদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করে। স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের সর্মথন না পেয়ে আবার ২৯ আগষ্ট হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে। এ কাজে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করা হচ্ছে।

রওশন আরার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি অবৈধ ভাবে দুইটি সিনিয়র স্কেল গ্রহণ করেছেন। প্রথম স্কেল বি.এড পাস না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়েছেন। স্কেল নেওয়ারপর তিনি বি.এড পাস করেন। পরবর্তীতে আরো একটি স্কেল অবৈধভাবে নিয়েছেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়র শিক্ষককে ঠিঙ্গিয়ে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষককের পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। কথিত আছে  সহকারী প্রধান শিক্ষককের পদে নিয়োগ নিতে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন। 

বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাচারিত ও বহুমুখী অনিয়মের পাহাড় করেছেন। প্রধান শিক্ষক যোগদান করলে তার অনিয়ম ধরা পড়ে যাবে তাই তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে স্থাগিতাদেশ চেয়ে রিট দাখিল করেছে।

আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_img

জনপ্রিয়

মতামত